বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০

Poster of Hungry Generation Webinar


 

সোমবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২০

বুধবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২০

Malay Roychoudhury's Poetry Reading Event.


 

শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২০

Malay Roychoudhury Quote


 

শুক্রবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২০

মলয় রায়চৌধুরীর একাশিতম জন্মদিনে স্নেহা গুহ

 #হোমাজ_টু_স্টার্ক_ইলেক্ট্রিক_জিশাশ
(২৯শে অক্টোবর ১৯৩৯-)

"আমি আজও আমার প্রথম বইটা লেখার চেষ্টায় বাংলা ভাষাকে আক্রমণ করে চলেছি । ইমলিতলায় ছিলুম বামুনবাড়ির মহাদলিত কিশোর।দেখি খুল্লমখুল্লা লেখার চেষ্টা করে কতোটা কি তুলে আনতে পারি। উপন্যাস লিখতে বসে ঘটনা খুঁড়ে তোলার ব্যাগড়া হয় না জীবনেকচ্ছা লিখতে বসে কেচ্ছা-সদিচ্ছা-অনিচ্ছা মিশ ধরে খেয়ে যেতে পারে তার কারণ আমি তো আর বুদ্ধিজীবি নই জানি যে মানুষ ঈশ্বর গণতন্ত্র আর বিজ্ঞান হেরে ভুত।"

এরকম অত্যাচারীত কথাবার্তা বলার হিম্মত দেখানো ছুতারের আজ ৮১তে পা,তাঁকে নিয়ে অসম্ভব রকমের রিসার্চ,অণুপ্রেরণা,হ্যানো-ত্যানো প্রচুর হয়েছে,হবেউ …আফটারঅল ৬০এর আগুনে দশকে বাংলা কবিতার খোলনলচে জুতোর বাস্কে ভরে পার্সেল করতে পেরেছিলেন যে তিনিই…হাংরি আন্দোলনের উদগাতা…কনট্রোভার্সিয়াল,লার্জার দ্যান লাইফ ক্যারেক্টার হয়ে স্বমহিমায় বিরাজ করছেন তিনি এখনো…অনবরত প্রতিআক্রমণ হয়েছে,তিনি সরে এসেছেন বারবার তার লেখার স্টাইল পাল্টে--দুর্দান্ত ক্রাফ্টসম্যান তিনি…

সম্ভবত আমি বাংলায় আভাঁ গার্দ নিয়ে পরিচিত হয়েছি প্রথম তাঁর লেখা পড়েই,একটি পত্রিকার লেখাটা(উৎসর্গীকৃত জর্জ গর্ডন বাইরন,ষষ্ঠ ব্যারন বায়রন)

"কে বলতো তুমি? দেখি আবার ডাক দেও! আমরা তার কাছে নাগিয়া খালি হাসিতাম। মজার বিষয় হইল আম্মুর ফোনে প্রথম দিকটায় কনফিউজ যাইতো,কার সাথে কথা বলতেছে সে।আরো অনেক ফোনালাপে আমরা দুজনেই অংশগ্রহণ করছি কিন্তু অপর‌ প্রান্তের লোকগুলা বুঝতোনা।"

এইধরনের বিষয়হীনতা লেখার মধ্যে ভাসতে ভাসতে জাম্পকাট করে সোশ্যাল ডিলেমা বিশেষায়িত একটা পরম্পরা তার নতুন লেখাগুলোয়…
(কিছু পরে ওই সেম লেখাতে পাওয়া যাচ্ছে)

"সেও শরীরে যতদিন তার রস ফেলে আমাকে নিংড়েছে, ততদিন আমাকে তার নিচে চেপে নিষ্পেষণ করেছে, তারপর নতুন কচি ফুল পেতে চলে গেছে…তাতে কিন্তু কারুর একটাও কোঁকড়ানো বাল ছেঁড়া যায় নি। আর আমার একটা বড় মাই (আপনাদের ভাষায়) দেখে আপনাদের প্যান্ট ফেটে যাচ্ছে। আজ আমার সাজানো সাজঘরে কালো আঁধারবিদাগ।"

কি বিলকুল সুন্দর জিহ্বায় উচ্চারিত পরপর দৃশ্যগুলো,ইনসাইড,আউটসাইড ডজ করে ওভারল্যাপিং…হ্যাঁ হাংরি শুরুর দিকে লেখায় এবং তারোপর এসোব লেখা তাঁর ছিল না,তাই আমাকে ভাবায় আরো কিভাবে তিনি নিজের চরিত্রের অণ্বেষণ করে গ্যাছেন,কোনোরকম ডিপ্লোম্যাসির ধার না ধারা অবয়ব ফুটফুটে ইস্ট্রোজেন।আমি এই লেখাটা কমপ্লিটলি অ্যাবসেন্স অব মাইন্ডে টুকছি,বন্ধুর দেওয়া কয়েকটা কবিতার দুর্বিসহ ইলাস্ট্রেশন যন্ত্রণার খোশগল্পে সীমাহীন মলয়ালম,আহা কি খাসা,ঠাঁসা ঠাঁসা…

তাঁর কবিতা একেবারেই নয় যা তিনি তার আমেজের ৮০ভাগ হয়তো তার উপন্যাসেই আছে,সরজমিনে তদন্তের খাশনবিশি,তবুও মলয় রায়চৌধুরী বাংলা কবিতার প্যারাসিটামল,আর তাঁর গদ্য-প্রবন্ধ অনবরত ইস্তেহার,এসোব আমার একটা বিকট থিসিস লেখার আগে ওনার সাথে চাকনার কাজ করুক,সিঙ্গেল মল্ট ইজ দ্য ক্লোজেস্ট থিঙ্গ টু হিজ হার্ট,খাবেন তাহলে,লাভ ইউ মলয় রায়চৌধুরী।

"জুরাসিক যুগের শেষ দিকে এক শ্বাসরুদ্ধকর এক্সপায়ারি ডেট
যতটা অবিশ্রান্ত হ্যাংলামি আদুরে প্রথমোক্ত ঘরাণার ঘরের
বউরা দুপুরে আমার ভেতর, যেন চিরবিরহী ম্যাড়ম্যাড়ে
ওই তেলে দ্রবীভূত সোনা দিয়া বান্ধানো পদযুগলে বাঃ ,
অনবদ্য ইত্যাদি ইত্যাদি এতটাই বেপরোয়া পুদুচেরির খুদে
মুরগি হুহুহু হিহিহি হাহাহা হোহোহো, তিনটি মাত্রাই রুদ্ধ র‍্যাম্পাট
কেলিয়েছে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পিরথিবি ছাইড়া চইলা যামু উউউউম্মাহহহ"

বাংলা কবিতার ভাববাদী চেতনার ডাইরেক্টনেস থেকে এক্কেবারে ঘুরপথে অ্যান্টি-এস্টাবলিষ্ড কঠিণ বিমূর্ততার হ্যান্ডবিল প্রকৃতভাবে উজ্জল,অমলিন আকাঙ্ক্ষা হয়ে বেজে যাচ্ছেন হরবখত…

[ধন্যবাদ আমার চেনা-পরিচিতদের যারা আমায় পরিচিত করিয়েছেন হাংরি মলয়ের দৌড়ের রাশ চিনতে এবং এই লেখা একটা হোমাজ টু মাই প্রিডেসিসর,লাজোয়াব চুড়মুড়।]
_________________________________________________
ইলাস্ট্রেশন:সুমন মুখার্জি

ছবিতে থাকতে পারে: 1 জন, অঙ্কন

বুধবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২০

মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২০

Violinist Malay Roychoudhury during Sixties


 

Malay Roychoudhury KIVE on 18th November 2020


 

Malay Roychoudhury LIVE on his birthday on 29th October 2020


 

বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২০

Malay Roychoudhury as MALAYDAS BAUL


 

বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০২০

Malay Roychoudhury LIVE on 14th November 2020


 

Malay Roychoudhury LIVE on 14th November 2020


 

মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর, ২০২০

Malay Roychoudhury's portrait drawn by Hiran Mitra


 

Malay Roychoudhury LIVE on 26th October 2020


 

Malay Roychoudhury LIVE on 14th November 2020


 

রবিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২০

Malay Roychoudhury's father's Drama Group


 

Malay Roychoudhury's mother's Music Group


 

Malay Roychoudhury's grand parents


 

Malay Roychoudhury's house at Patna. Allen Ginsberg stayed in this house


 

Malay Roychoudhury with school mates and class teacher


 

Malay Roychoudhury's Shubha from Stark Electric Jesus


 

মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২০

হাংরি জেনারেশন


 

সোমবার, ১২ অক্টোবর, ২০২০

শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০

Malay Roychoudhury's Love Poem for Asma Adhora

झूमा चटर्जी मलय रॉयचौधरी की कविता "परमप्रकृति" पढ़ रही हैं

মলয় রায়চৌধুরীর ইংরেজিতে অনুদিত আভাঁ গার্দ কবিতা নং দুই

মলয় রায়চৌধুরীর ইংরেজিতে অনুদিত আভাঁ গার্দ কবিতা নং চার

मलय रॉयचौधरी की प्रेम कविता आसमा अधारा के लिए

মলয় রায়চৌধুরীর ইংরেজিতে অনুদিত কবিতা নং পাঁচ

প্রচণ্ড বৈদ্যুতিক ছুতার || মলয় রায় চৌধুরীর বিখ্যাত কবিতা

সোনালী মিত্র'র জন্য মলয় রায়চৌধুরীর প্রেমের কবিতা "এই নাও হৃৎপিণ্ডখানা"

মলয় রায়চৌধুরীর ইংরেজিতে অনুদিত আঁভাঁ গার্দ কবিতা নং ছয়

মলয় রায়চৌধুরীর ইংরেজিতে অনুদিত আভাঁ গার্দ কবিতা নং সাত

मलय रॉयचौधरी की प्रेम कविता आसमा अधारा के लिए

মলয় রায়চৌধুরীর ইংরেজিতে অনুদিত আভাঁ গার্দ কবিতা নং আট

চলো গুলফিঘাট - মলয় রায়চৌধুরী

মলয় রায়চৌধুরীর কবিতা, কৌস্তুভ দে সরকার-এর কন্ঠে : "আররে রবীন্দ্রনাথ, তোম...

মেরু বিপর্যয় - মলয় রায়চৌধুরী

হাংরি আন্দোলনের সাহিত্যিক অলোক গোস্বামীর কবিতা মলয় রায়চৌধুরীর কন্ঠে

মলয় রায়চৌধুরীর কবিতার ইংরেজি অনুবাদ

মলয় রায়চৌধুরীর ইংরেজিতে অনুদিত আভাঁ গার্দ কবিতা নং নয়

পরমাপ্রকৃতি-মলয় রায়চৌধুরী।

প্রচন্ড বৈদ্যুতিক ছুতার।

নখ কাটা ও প্রেম- মলয় রায়চৌধুরী।

মলয় রায়চৌধুরীর কবিতার ইংরেজি অনুবাদ

মলয় রায়চৌধুরীর ইংরেজিতে অনুদিত আভাঁ গার্দ কবিতা নং এক

মলয় রায়চৌধুরীর ইংরেজিতে অনুদিত আভাঁ গার্দ কবিতা নং দশ

"The Hungryalists" ( Peinguin ) being discussed by thinkers with author ...

A poem from Binoy Majumdar's "Bhutta Series" read by Malay Roychoudhury ...

আলফা পুরুষের কবিতা - মলয় রায়চৌধুরী

Malay Roy Choudhury Poem

Malay Roychoudhury reading Mystery of Pure Consciousness

মলয় রায়চৌধুরীর কন্ঠে লক্ষ্মীর ব্রতকথার শেষাংশ, র‌্যাপ মিউজিকসহ ( Malay R...

মারিনা রেজা, মার্কিন ওয়েসলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভারতে এসে হাংরি আন্দো...

মলয় রায়চৌধুরীর কবিতা

মলয় রায়চৌধুরীর জাদুবাস্তব "গহ্বরতীর্থের কুশীলব" অডিও বুক ( প্রথম পর্ব ;...

মলয় রায়চৌধুরীর 'কী বিষয় কী বিষয়'

মলয় রায়চৌধুরীর জাদুবাস্তব "গহ্বরতীর্থের কুশীলব" - অডিওবই - দ্বিতীয় পর্ব ...

মলয় রায়চৌধুরীর রহস্যোপন্যাস "নোংরা পরির কংকাল প্রেমিক" আলোচনা করছেন বহতা...

Bahata Angshumali Mukhopadhyay analyzes Malay Roychoudhury's detective n...

Rajkamal Choudhary's poem MUKTIPRASANG (First Part) translated in Bengal...

Malay Roychoudhurys Poem

Rajkamal Choudhary's MUKTIPRASANG - Part 2 - translated in Bengali, rec...

Malay Roychoudhury's poem recited by Lavanya Shahida

মলয় রায়চৌধুরীর 'মেসোমশায় পর্ব'

মলয় রায়চৌধুরীর কবিতা, কৌস্তুভ দে সরকার-এর কন্ঠে : "আররে রবীন্দ্রনাথ"

Malay Roychoudhury's poems being read by Debasis Bhattacarya.

लावण्या शाहिदा मलय रॉयचौधरी की कविता पढ़ रही हैं

कौस्तुभ डी सरकार मलय रॉय चौधरी की कविताएँ पढ़ रही हैं

মলয় রায়চৌধুরীর প্রেমের কবিতা "তুমি, নীলাকাশ, ধরাছোঁয়া থেকে বহুদূর"

Poème d'amour de Malay Roychoudhury pour Asma Adhara

मलय रॉयचौधरी की प्रेम कविता आसमा अधारा के लिए

عثمان ادھارا کے لئے ملیئی رایچودھری کی محبت کی نظم

Malay Roychoudhury reads his epic poem JAKHAM in original Bengali writte...

ইলোপকন্যা - মলয় রায়চৌধুরী

মলয় রায়চৌধুরীর কবিতা "পরমাপ্রকৃতি" পাঠ করছেন ঝুমা চট্টোপাধ্যায়

হাংরি আন্দোলনের কবি মলয় রায়চৌধুরী

সোনালী চক্রবর্তীর জন্য মলয় রায়চৌধুরীর প্রেমের কবিতা "মাথা কেটে পাঠাচ্ছি ...

Malay Roychoudhury's love poem for Sonali Mitra

Malay Roychoudhury's Love Poem for Sonali Chakraborty

Poème d'amour de Malay Roychoudhury pour Sonali Mitra

মলয় রায়চৌধুরীর 'এ কেমন বৈরী'

শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২০

ম্লেচ্ছকুমারীকে

ম্লেচ্ছকুমারীকে 
এ নাও অস্তিত্ব দিচ্ছি দাবি অনুযায়ী
হিব্রু শাস্ত্র মতে চামড়া ছাড়িয়ে টাইগ্রিসের জলে ধুয়ে নেয়া
উলটো টাঙানো আমি ঝুলছি স্টেনলেস হুকে
করোটি ফাটিয়ে মন নিয়ে নাও
হৃদযন্ত্র থেকে ভালভ উপড়ে হৃদয়ও নাও
জিভ ছিঁড়ে নিয়ে নাও প্রেমের কথাগুলো যা বলেছি এতোকাল
লিঙ্গ কেটে নিয়ে নাও প্রেমের কোটি-কোটি কীট
এ আমার শব নয় ; এ হলো পার্থিব প্রস্তাব
 

মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০

মলয় রায়চৌধুরী, হাংরি আন্দোলনের স্রষ্টা সম্পর্কে প্যারিসের জানালার প্রতিন...

Malay Roychoudhury interviewed by Abu Jubayer, representative of Pariser...

হাংরি আন্দোলনের স্রষ্টা মলয় রায়চৌধুরীর কন্ঠে হাংরি কবি অরুণেশ ঘোষ-এর কবিতা

মলয় রায়চৌধুরী ( Malay Roychoudhury ) স্বরচিত কবিতা পড়ছেন ; "আজকের পূর্বা...

মলয় রায়চৌধুরী ( Malay Roychoudhury )স্বরচিত কবিতা পড়ছেন 'দূরের খেয়া' পত্...

Malay Roychoudhury reads his poem NAY BALLAD

Utpalkumar Basu's poem POPER SAMDHI published in Hungry in 1960s bulleti...

হাংরি বুলেটিনে প্রকাশিত শক্তি চট্টোপাধ্যায়-এর কবিতা "সীমান্তপ্রস্তাব-১",...

হাংরি বুলেটিনে প্রকাশিত সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়-এর গদ্য "সীমান্তপ্রস্তাব - ...

বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০

বৃহস্পতিবার, ২০ আগস্ট, ২০২০

অবন্তিকা : মলয় রায়চৌধুরী


রবিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২০

Malay Roychoudhury with friends and events.

Malay Roychoudhury with friends and events.

Malay Roychoudhury reading his poem ANANDO, written about difficulties d...

Malay Roychoudhury reading his poem "RUFFIAN" ( Bengali poem TAPORI tran...

হাংরি আন্দোলন কেমনভাবে আরম্ভ হল সে কথা বলছেন মলয় রায়চৌধুরী

Keno Likhi Abantika

MALAYER KATHA 0001

Malay Roychoudhury, the Hungry Generation Leader with Family

Postmodern Baul Malay Roychoudhury

দুর্গন্ধ - মলয় রায়চৌধুরী

Malay Roychoudhury's NOKH KATA O PREM recited by Sadia Sobhan Sara

#মাথা _কেটে _পাঠাচ্ছি _যত্ন _করে _রেখো

আলফা ফিমেল বিড়ালিনী - মলয় রায়চৌধুরী

আলফা পুরুষের কবিতা - মলয় রায়চৌধুরী

বাংলাদেশের কবি ও ঔপন্যাসিক মোহনা সেতুর কন্ঠে মলয় রায়চৌধুরীর কবিতা "প্রচণ...

মলয় রায়চৌধুরীর পোস্টমডার্ন কবিতা পড়ছেন দেবাশীষ ভট্টাচার্য ।

স্বরচিত কবিতা পাঠ করছেন মলয় রায়চৌধুরী

Malay Roychoudhury reading Hungryalist poet Tridib Mitra's poem HATYAKANDO

Malay Roychoudhury reading Hungryalist poet Debi Roy's poems.

Hungryalist painter Anil Karanjai remembered by Subimal Basak ; their Ka...

মলয় রায়চৌধুরী পড়ছেন তাঁর কবিতা "আত্মধ্বংসের সহস্রাব্দ"

Malay Roychoudhury reading his own poem in Bengali AAMAAR SWADESH.

স্বরচিত কবিতা পাঠ করছেন মলয় রায়চৌধুরী

Malay Roychoudhury reading his own Bengali poem

স্বরচিত কবিতা "কৌরব-পাণ্ডব ম্যাচ" পড়ছেন মলয় রায়চৌধুরী

Malay Roychoudhury's poem on Che Guevara being read by Biplab Ghosh

স্বরচিত কবিতা পাঠ করছেন মলয় রায়চৌধুরী

Malay Roychoudhury reading his poem BURI, written on his wife

স্বরচিত কবিতা "কেউ আর কবিতা পড়ে না" পড়ছেন মলয় রায়চৌধুরী

শনিবার, ১৫ আগস্ট, ২০২০

Malay Roychoudhury reading his Baul poem from his collection DOMNI

Malay Roychoudhury remembering Rana Chattopadhyay in this poem

Malay Roychoudhury reads his own poem "COME. LET US TAKE YOU TO HELL"

the mystery of pure consciousness

Hungry generation | Wikipedia audio article

Malay Roychoudhury reading his poem

Malay Roychoudhury reading his own BAUL poem TALATAL

Bengali Poet Malay reading HOMOLOGY

Malay Roychoudhury reading his poem "RUFFIAN" ( Bengali poem TAPORI tran...

Malay Roychoudhury reading his poem NAIL CUTTING AND LOVE ( translation ...

Malay Roychoudhury's memory of friends and relatives.

কবিতার স্মরণে পর্ব ২১ | Malay Roy Choudhury | Susmita Bose | Kabita Kutir

Bangla kobita (hungry generation)

Malay Roychoudhury, the Hungry Generation Leader with Family

One year in Malay Roychoudhury's life

Malay Roychoudhury with friends and events.

Malay Roychoudhury's poem "Shesh Pronoyini" being recited by Mohona Setu

Malay Roy Choudhuri

Malay Roychoudhury & Hungry Generation literary movement. Talk by Deep Sen

মলয় রায়চৌধুরীর গ্রন্হ "বিনয় মজুমদার : কবিতার বোধিবৃক্ষ" । প্রকাশক বৈভব প...

Keno Likhi Abantika

Malay Roychoudhury reading a poem by Alo Mitra, only female member of Th...

Malay Roychoudhury reading his poem ANANDO, written about difficulties d...

মাথা কেটে পাঠাচ্ছি, যত্ন করে রেখো || মলয় রায় চৌধুরী || পাঠ : মিতালী সে...

ডেথমেটাল- মলয় রায় চৌধুরী

কি বিষয় কি বিষয় (Ki Bishoy Ki Bishoy)

আলো- মলয় রায় চৌধুরী alo -Malay Roychoudhury

Bangla Poetry - Hungry Generation

Malay Roychoudhury's poems being read by Debasis Bhattacharya

Malay Roychoudhury reading his own BAUL poem TALATAL

প্রথম প্রেম মলয় রায় চৌধুরী পরিবেশনায় আরিফুল হক

মলয় রায়চৌধুরীর পোস্টমডার্ন কবিতা পড়ছেন দেবাশীষ ভট্টাচার্য ।

মুম্বাইয়ের প্রবাসী বাংলা কবিদের কবিতা পাঠে অর্ঘ দত্ত । mumbai probasi ba...

Malay Roychoudhury reading his own poem "I WILL COME BACK AGAIN" ( AABAR...

Malay Roychoudhury reads his own poem "COME. LET US TAKE YOU TO HELL"

BHOOKHI PEEDHI (Hungry generation)

Malay Roychoudhury reading his Bengali poem DAMPATYA, written on his wif...

Malay Roychoudhury reading his poem BURI, written on his wife

Hungryalists and the Beatniks: Malay Roychoudhury Interviewed Part-2

মলয় রায়চৌধুরীর কবিতা - " আড়াই প্যাঁচের পর যে নাচ নাচি "

#মাথা _কেটে _পাঠাচ্ছি _যত্ন _করে _রেখো

মলয় রায়চৌধুরীর 'এ কেমন বৈরী'

মলয় রায়চৌধুরীর 'মেসোমশায় পর্ব'

প্রচন্ড বৈদ্যুতিক ছুতার।

Malay Roychoudhury's poem translated in English.

মলয় রায়চৌধুরী পড়েছেন তাঁর নিজের লেখা ছোটোগল্প "মিহিকার জন্মদিন"

মলয় রায়চৌধুরী পড়ছেন নিজের কবিতা "হাততালি"

উত্তরাধুনিক বাউল মলয় রায়চৌধুরী

নখ কাটা ও প্রেম(কবিতা -মলয় রায়চৌধুরী আবৃত্তি -সাদিয়া সোবহান সারা)

নখ কাটা ও প্রেম.

মলয় রায়চৌধুরী পড়ছেন তাঁর কবিতা "আত্মধ্বংসের সহস্রাব্দ"

মেরু বিপর্যয় - মলয় রায়চৌধুরী

Malay Roychoudhury reading Faiz Ahmed Faiz

প্রচণ্ড বৈদ্যুতিক ছুতার (Stark Electric Jesus)

মলয় রায়চৌধুরী তাঁর শৈশবের ইমলিতলা পাড়ার স্মৃতিচারণ করছেন

প্রচণ্ড বৈদ্যুতিক ছুতার || মলয় রায় চৌধুরীর বিখ্যাত কবিতা

বিষবাউলের গান : মলয় রায়চৌধুরী

মলয় রায়চৌধুরীর 'কী বিষয় কী বিষয়'

#মাথা _কেটে _পাঠাচ্ছি _যত্ন _করে _রেখো

আলফা ফিমেল বিড়ালিনী - মলয় রায়চৌধুরী

সবুজ দেবকন্যা - মলয় রায়চৌধুরী

"প্রচন্ড বৈদ্যুতিক্ ছুতার"আবৃতি:তনুময় গোস্বামী

হাংরি আন্দোলন কেমনভাবে আরম্ভ হল সে কথা বলছেন মলয় রায়চৌধুরী

প্রেমের কবিতার ডাক্তার, কবি- মলয় রায়চৌধুরী (premer kobitar doctor, mal...

মলয় রায়চৌধুরীর কবিতা

'মরে গেলি অরুণেশ : মলয় রায়চৌধুরী

আমার কিছুই আ‌সে যায় না_ক‌বি মলয় রায়‌চৌধুরী

চলো গুলফিঘাট - মলয় রায়চৌধুরী

নাচ মুখপুড়ি- মলয় রায়চৌধুরী

নখ কাটা ও প্রেম- মলয় রায়চৌধুরী।

পরমাপ্রকৃতি-মলয় রায়চৌধুরী।

প্রচণ্ড বৈদ্যুতিক ছুতার | Prochondo Boidyutik Chutar | মলয় রায়চৌধুরী |...

দুর্গন্ধ - মলয় রায়চৌধুরী

Bangla Poetry - Hungry Generation

হাংরি আন্দোলনের কবি মলয় রায়চৌধুরী

কপিরাইট - মলয় রায়চৌধুরী

Malay Roychoudhurys Poem

Malay Roychoudhury reading THRONE OF THE WEEVIL

Malay Roychoudhury

Malay Roychoudhurys Poem

মর মুখপুড়ি - মলয় রায়চৌধুরী

আলফা পুরুষের কবিতা - মলয় রায়চৌধুরী

নুন ও নিমকহারামি

ইলোপকন্যা - মলয় রায়চৌধুরী

Bangladeshi poet Aditya Shubho reads Malay Roychoudhury's poem PROCHANDI...

বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই, ২০২০

Malay Roychoudhury


Malay Roychoudhury


রবিবার, ১২ জুলাই, ২০২০

Love Poem of Malay Roychoudhury



মাথা কেটে পাঠাচ্ছি, যত্ন করে রেখো

মাথা কেটে পাঠাচ্ছি, যত্ন করে রেখো
মুখ দেখে ভালোবেসে বলেছিলে, “চলুন পালাই”
ভিতু বলে সাহস যোগাতে পারিনি সেই দিন, তাই
নিজের মাথা কেটে পাঠালুম, আজকে ভ্যালেনটাইনের দিন
ভালো করে গিফ্টপ্যাক করা আছে, “ভালোবাসি” লেখা কার্ডসহ
সব পাবে যা-যা চেয়েছিলে, ঘাম-লালা-অশ্রুজল, ফাটাফুটো ঠোঁট
তুমি ঝড় তুলেছিলে, বিদ্যুৎ খেলিয়েছিলে, জাহাঝ ডুবিয়েছিলে
তার সব চিহ্ণ পাবে কাটা মাথাটায়, চুলে শ্যাম্পু করে পাঠিয়েছি
উলঙ্গ দেখার আতঙ্কে ভুগতে হবে না
গৌড়ীয় লবণাক্ত লিঙ্গ দেখবার কোনো স্কোপ আর নেই
চোখ খোলা আছে, তোমাকে দেখার জন্য সবসময়, আইড্রপ দিও
গিফ্টপ্যাক আলতো করে খুলো, মুখ হাঁ-করাই আছে
আমার পছন্দের ননভেজ, সন্ধ্যায় সিঙ্গল মল্ট, খাওয়াতে ভুলো না
মাথাকে কোলেতে রেখে কথা বোলো, গিটার বাজিয়ে গান গেও
ছ’মাস অন্তর ফেশিয়াল করিয়ে দিও, চন্দনের পাউডার মাখিও
ভোর বেলা উঠে আর ঘুমোতে যাবার আগে চুমু খেও ঠোঁটে
রাত হলে দু’চোখের পাতা বন্ধ করে দিও, জানো তো আলোতে ঘুমোতে পারি না
কানে কানে বোলো আজও উন্মাদের মতো ভালোবাসো
মাথা কেটে পাঠালুম, প্রাপ্তি জানিও, মোবাইল নং কার্ডে লেখা আছে

মলয় রায় চৌধুরীর প্রেমের কবিতা



মাথা কেটে পাঠাচ্ছি, যত্ন করে রেখো

মাথা কেটে পাঠাচ্ছি, যত্ন করে রেখো
মুখ দেখে ভালোবেসে বলেছিলে, “চলুন পালাই”
ভিতু বলে সাহস যোগাতে পারিনি সেই দিন, তাই
নিজের মাথা কেটে পাঠালুম, আজকে ভ্যালেনটাইনের দিন
ভালো করে গিফ্টপ্যাক করা আছে, “ভালোবাসি” লেখা কার্ডসহ
সব পাবে যা-যা চেয়েছিলে, ঘাম-লালা-অশ্রুজল, ফাটাফুটো ঠোঁট
তুমি ঝড় তুলেছিলে, বিদ্যুৎ খেলিয়েছিলে, জাহাঝ ডুবিয়েছিলে
তার সব চিহ্ণ পাবে কাটা মাথাটায়, চুলে শ্যাম্পু করে পাঠিয়েছি
উলঙ্গ দেখার আতঙ্কে ভুগতে হবে না
গৌড়ীয় লবণাক্ত লিঙ্গ দেখবার কোনো স্কোপ আর নেই
চোখ খোলা আছে, তোমাকে দেখার জন্য সবসময়, আইড্রপ দিও
গিফ্টপ্যাক আলতো করে খুলো, মুখ হাঁ-করাই আছে
আমার পছন্দের ননভেজ, সন্ধ্যায় সিঙ্গল মল্ট, খাওয়াতে ভুলো না
মাথাকে কোলেতে রেখে কথা বোলো, গিটার বাজিয়ে গান গেও
ছ’মাস অন্তর ফেশিয়াল করিয়ে দিও, চন্দনের পাউডার মাখিও
ভোর বেলা উঠে আর ঘুমোতে যাবার আগে চুমু খেও ঠোঁটে
রাত হলে দু’চোখের পাতা বন্ধ করে দিও, জানো তো আলোতে ঘুমোতে পারি না
কানে কানে বোলো আজও উন্মাদের মতো ভালোবাসো
মাথা কেটে পাঠালুম, প্রাপ্তি জানিও, মোবাইল নং কার্ডে লেখা আছে

বৃহস্পতিবার, ৯ জুলাই, ২০২০

মলয় রায়চৌধুরীর কোটেশান


আমি লেখালিখি করি নিজের একাকীত্ব উপভোগের জন্য ।
***
যাঁরা লিখতে বললেই একটা টাইমফ্রেমে গল্প বা উপন্যাস ‘নামিয়ে ফেলে’ সম্পাদকের কাছে জমা দেন তাঁরা একটা সিস্টেমের বাঁধনে আটকে পড়েন । আর সিস্টেম মানেই প্রতিষ্ঠান ।
***
কবিদেরও এনকাউন্টারে খুন করা হয় যখন একজন কবি বহুল প্রচারিত পত্রিকায় কবিতা প্রকাশ হলে ডগমগ হন ।
***
কবিতা ‘ভালো’ লাগল না ‘খারাপ’ তা আব্রাহামিক চিন্তা ; ঈশ্বর আর শয়তানের বাইনারিকে মেনে নেয়াও সিস্টেমের ছাঁকনি । এই বাইনারিকে মান্যতা দেয়াটাও প্রতিষ্ঠানের অন্তর্গত হওয়া ।
***
আমি বারবার প্রেমে পড়ি । কেন যে তরুণীরা আমাকে প্রেমের ডাক দেন জানি না । অনেকে চিঠি লিখতে বলেন, ডাকযোগে । কিন্তু চিঠি তো আর লিখতে পারি না । ইমেল করে প্রেম করা যায় না ।
***
প্রেমের ডাক পেলে ভয় করে ।
***
কবিতা লিখলে গালমন্দ খেতেই হবে ।
***
যারা ছবি আঁকে তারা নিজেদের বলে চিত্রশিল্পী । কেউ নিজেকে ভুলেও কবিশিল্পী বলে না । যারা পাঁঠা কাটে তাদের কসাইশিল্পী বলা হবে না কেন ? কসাই তো কেমন তুলি চালাবার মতন করে চপার চালায় ।
***
শিল্পের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা কবিতা রচনার প্রথম শর্ত।
***
এককালে বাংলাভাষায় বাণিজ্য হতো ; এখন বাংলাভাষায় কেবল পদ্য লেখা যায় কিংবা সংবাদপত্রের গুলগল্প।
***
মৃত্যুকে আবিষ্কারই প্রেম ; প্রেম আবিষ্কারই কবিতা ; কবিতা আবিষ্কারই মৃত্যু
***
যৌনতা হল মেটাফর । প্রেম হলো ক্যাটাসট্রফি ।
***
শাঁখের আওয়াজকেও গোঙানিতে বদলে ফেলতে পারা যায় । সেই গোঙানিটা মৃত শাঁখের ।
***
ভাষা তো অবলা নয় যা নারীকে অবলা বলব ।
***
কবিতা প্লুরাল, তাই একটা কবিতার অনেক মানে হতে পারে । আবার কোনো মানে নাও হতে পারে ।
***
ভাষা ফ্যাসিবাদের সহায়ক ।
***
কোনো-কোনো কুষ্ঠরোগি ভিক্ষা চাইবার সময়ে ছুঁয়ে দিয়ে ভয় দেখাতে চায় ।
***
আমি ২৯ নভেম্বর বিয়ের প্রস্তাব দিই আর চৌঠা ডিসেম্বর বিয়ে করি, যাতে প্রেমের হলকার মধ্যেই পরস্পরকে খুঁজে নিতে পারি ।
***
মানুষ ভাষাকে প্রতিক্রিয়াশীল করে তুলেছে ।
***
সবচেয়ে মিষ্টি বৃষ্টি হলো যা তাড়া করেও ধরতে পারে না ।
***
মালার্মে আর রিলকের যতো উল্লেখ তিরিশের দশকে হতো তা আর লিটল ম্যাগাজিনে দেখা যায় না । ওনাদের কবিতার বিশেষ অনুবাদও হয় না । আসলে বাংলা কবিতার পৃথিবীতে ওনাদের কবিতা খাপ খায় না ।
***
যতোও তর্কাতর্কি হোক, কবিতাপাঠ অনুষ্ঠান হোক, কবিতা আর মেইনস্ট্রিম বৌদ্ধিক ব্যাপার নয় । এটা এখন বিশেষজ্ঞদের জগত ; এই জগতে ভূমিকম্প হলেও তা এর বাইরের লোকেরা জানতে পারে না । তবে এই জগতের পুরুতদেরও সাংস্কৃতিক মর্যাদা আছে । কেউ দুর্গাপুজোর পুরুত, আবার কেউ মনসা, শেতলা, শনিঠাকুরের পুরুত ।
***
নেপালে যখন ছিলুম, হাত দিয়ে চটকে মশলা মিশিয়ে তৈরি মোষের কাঁচা মাংস ‘কচিলা’ আর তার সঙ্গে ‘রাকসি’ মদ খেতুম । খেড় বেছানো অন্ধকার ঘরে ফিরে গুহাবাসীদের আনন্দে ফিরে যেতুম, পঁচিশ হাজার বছর পেছনে । মাওবাদীরা হয়তো সেই জন্য দুটোই বেআইনি করে দিয়েছে ; মানুষকে এগিয়ে যেতে হবে । কিন্তু কোথায় ? ইউরোপের ‘এনলাইটেনমেন্টে’ !
***
ইটভাটার বধুয়া মজুরদের যখন ছাড়িয়ে স্বাধীনতা দেয়া হল, তখন তাদের প্রথম প্রশ্ন ছিল, “হুজুর, আমাদের খাওয়াবে কে?”
***
যুবতী শোকাতুরাকে জড়িয়ে মৃতকে ভুলে জীবিতার দেহতাপ পাওয়াও বেঁচে থাকার রসদ ।
***
তাকিয়ে পাথরপ্রতিমা করে দেবার সৌন্দর্যবোধ কেবল কবিদের থাকে ।
***
প্রাচীন গ্রিসের দেবতাদের মূর্তির লিঙ্গ ছোটো আর ন্যাতানো হতো । রাক্ষসদের লিঙ্গ বড়ো আর দাঁড়ানো গড়া হতো । ওনাদের দেবতাদের মূর্তির প্রশংসা করার বদলে আমরা রাক্ষসদের ঈর্ষা করার নান্দনিক যুগে পৌঁছে গেছি ।
***
আয়নাও পারা ঝরিয়ে নতুন বউয়ের স্মৃতি ভুলে যায় ।
***
গন্তব্য আর তীর্থ দুটো আলাদা পথবিন্দু ।
***
বসন্তঋতুর সঙ্গে একাত্ম হবার প্রয়াস সম্পর্ককে অনৈতিক করে তুলতে পারে ।
***
প্রতিটি মৃত্যুদণ্ডের নিজস্ব রূপকথা হয় ।
***
লিখনভঙ্গিমা সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন হয়ে পানাপুকুরে গোসাপের সাঁতার ।
***
স্কুল বালকেরা পরীক্ষার খাতায় কলমের নার্ভাস নাচের প্র্যাকটিস দেখতে পায় ।
***
শত্রুতা শেখা দরকার মাকড়সাদের থেকে ; ওইটুকু মাকড়সা অথচ শত্রুদের মুখে থুতু ছিটিয়ে কি বিশাল জালের ফাঁদ পেতে রাখে ।
***
রাতে পেচ্ছাপ করতে উঠলে আলো জ্বালি না, ঘুমের ট্যাবলেটের রেশ যাতে ফুরিয়ে না যায় । কিনউ পেচ্ছাপ পড়ার আওয়াজে কান রাখতে গিয়ে ঘুমটা চটে যায় । তার ওপর বাইরে পড়লে সকালে উঠে ধুতে হবে, কেননা আমিই প্রথম উঠি । প্রাকঔপনিবেশিক আর উত্তরঔপনিবেশিকের খিচুড়িজীবন ।
***
মধ্যবিত্ত বাঙালির বিড়ি খাওয়ায় কি এলিটিজম নেই ?
***
খালাসিটোলা থেকে বেরিয়ে গোরুর মাংসের গরম-গরম শিক-কাবাব খাবার প্রস্তাব দিলেই সুভাষ ঘোষ আর শৈলেশ্বর ঘোষ পালিয়ে উধাও হয়ে যেতো । তার আগে পর্যন্ত মাতাল ।
***
হিন্দি ভাষার কবি রাজকমল চৌধুরীর সঙ্গে ওর গ্রাম মাহিষীতে গিয়েছিলুম, ছিন্নমস্তার পুজোয় ; সেদিন একের পর এক মোষ বলি চলছে, আর আমরা দিশিমদ ঠররা খেয়ে রক্ত মেখে বেহেড, মাংস খাওয়া আর নাচানাচি হবে রাতে । সেই রাতেই মনে হয়েছিল ‘অস্তিত্ববাদ’ দর্শনটা এক্কেবারে অভারতীয়, কলোনিয়াল ; লোকে কি করে যে কামু-সার্ত্রের নাম জপ করে বেড়ায় !
***
যিনি নিজেকে ঈশ্বরবিশ্বাসী বলে বিজ্ঞাপিত করেন, তিনি যখন ঈশ্বরের সমর্থনে বাগাড়ম্বর ফাঁদেন, তখন  আঁচ করতে পারি যে তাঁর ঈশ্বরবিশ্বাস ভুয়ো ।
***
কাউকে ভালোবাসার সময়ে কেউ কি ভাবে যে, “আমি অমুককে ভালোবাসি ?” অথচ ছাড়াছাড়ির পর ভাবে, “আমি অমুককে ভালোবাসতুম ।”
***
সংবাদপত্র পড়া আর টিভিতে সংবাদ দেখার পজিটিভ দিক হলো যে, আমরা স্বস্তি পাই, আমাদের চারিপাশে হাজার-হাজার মূর্খ এই সমাজের বিভিন্ন স্তরে বাস করে ।
***
টিভির অ্যাঙ্কর ( অ্যাঙ্করিণী ? ) তরুণীরা বুড়ো দর্শকদেরও বলে, “সঙ্গে থাকুন” । কেমন অশ্লীল ডাক ।
***
ফৌজদারি আদালতে, হাজতে, জেলের পাল্লায় না পড়লে দেশকে, দেশের মানুষদের, জানা যায় না ।
***
নর্দমায়, মাঠে, নদীর ধারে না হাগলে শিক্ষিত মানুষের জীবনবোধ হবার সম্ভাবনা কম ।
***
প্রথম সঙ্গমের আগে পর্যন্ত যে রহস্যময়ী অচেনা, সে চেনা রহস্যময়ী হয়ে ওঠে প্রতিবারের রুটিনে ।
***
বেঁচে থাকার উদ্দেশ্য বলে আলাদা কিছু হয় না । বেঁচে থাকাটাই বেঁচে থাকার উদ্দেশ্য ।
***
যতোই চেষ্টা করা হোক, দুঃখকে অতিক্রম করা অসম্ভব ।
***
শৈশব থেকে দেখছি, লাউডস্পিকারের ডেসিবল বেড়েই চলেছে ; অথচ সব আওয়াজই মানেহীন ।
***
ফোন করে স্বপ্নে আসতে চাইছেন এক যুবতী-কবি । তিনি কবি । মাতাল ।
***
স্বপ্ন মাত্রেই পোস্টমডার্ন, তাদের অরৈখিক রাইজোম্যাটিক প্লটের কারণে ।
***
দেবীরা সবাই রোগের ( শীতলা, মনসা, পর্ণশর্বরী, ধূমাবতী ) আর দেবতারা সবাই চিকিৎসক ( ধন্বন্তরী, ধাত্রী, অশ্বিনীভাইরা ) । কেন ?
***
যদি না চোখে-চোখে রাখা হয়, তাহলে পুলিশ স্টেট হয়ে ওঠার জন্য গণতন্ত্রের মাটি সবচেয়ে নরম ।
***
এখন কবির নাম দেখে আঁচ করা যায় নামের নিচে কবিতাটা কেমন হবে। বছর শেষেও কোনো বিশেষ বাঁকবদল পাওয়া যায় না । যেন কবিতা আর কবির চাকরিতে পার্থক্য নেই ।
***
সঙ্গমের চেয়ে যোনির দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকার আনন্দ বেশি ।
***
জলাতঙ্ক রোগটা কুকুরেরা মানুষের কাছ থেকে পেয়েছে ।
***
বয়স হয়ে গেলেও বাসুদেব দাশগুপ্ত সোনাগাছির বেবি-দীপ্তি-মীরাদের মাংসের আকর্ষণ ছাড়তে পারেনি। দাদার কাছে এসে ভায়াগ্রা যোগাড় করে দিতে বলতো ।
***
সুভাষ ঘোষ মধ্যবিত্ত মূল্যবোধ থেকে বেরোতে পারেনি, হাংরি আন্দোলনের সময়েও। সোনাগাছিতে গিয়ে কারোর ঘরে ঢুকে তক্ষুনি বেরিয়ে এসে বলতো. লিঙ্গ দাঁড়াচ্ছে না ।
***
“আমি ও বনবিহারী” ( ২০০০ ) বইটার জন্য অকাদেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন প্রতিষ্ঠানবিরোধী লেখক সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় । উৎসর্গ করেছিলেন, “কবি, নাট্যকার ও মন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে” । আসলে উৎসর্গ করেছিলেন কবি নাট্যকার ও বনবিহারীকে, ভবিষ্যতে অবস্হা কী হতে চলেছে তা আগাম আঁচ করে ।
***
ক্যাথলিক মূল্যবোধে বেড়ে-ওঠা লেখকের টেক্সটের গভীরে কতোটা যেতে পারেন এমন সমালোচক যিনি হিন্দু পরিবারে জন্মেছেন, হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ সমাজে বসবাস করেছেন ?
***
সিপিএম-এর দমবন্ধ-করা কালখণ্ডে, কাফকাকে নিয়ে লিখেছেন মূলত বামপন্হীরা, যখন কিনা যাঁদের দম বন্ধ হয়ে আসছিল, কাফকা সম্পর্কে লেখা উচিত ছিল তাঁদের ।
***
প্রলেতারিয়েতের সঙ্গে একাত্ম বোধ করার জন্য বের্তোল্ত ব্রেখত দিনের পর দিন স্নান করতেন না, দাঁত মাজতেন না, পোশাক পালটাতেন না । পশ্চিমবঙ্গে তো কেউই বোধহয় প্রলেতারিয়েতের সঙ্গে কখনও একাত্ম বোধ করেনি ।
***
আমার কখনও ‘লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট’ হয়নি ; প্রতিবার ‘লাভ অ্যাট ফার্স্ট টাচ’ হয়েছে ।
***
কবিতার জন্য নিয়তিকে বশে আনতে হয় ।
***
প্রতিশোধের ষড়যন্ত্রকে জিইয়ে রাখা জরুরি কেননা তা জখমকে তাজা রাখে ।
***
দেশভাগের পর, পশ্চিমবাংলাকে যাঁরা বদলাতে চেয়েছেন, সাহিত্যিক বুদ্ধিজীবি রাজনীতিক সমাজবেত্তা, তাঁরা কেউই নিজেকে বদলাতে চাননি ।
***
দেবী রায়কে সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় লিখেছিলেন, “হাংরি আন্দোলনের একটা সিমবল তৈরি করে নিতে এবং পাঁচ পয়সা দাম রাখতে ।” যেই পুলিশের ধরপাকড় আরম্ভ হল উনি সরকারি সাক্ষী হয়ে লিখে দিলেন যে হাংরি আন্দোলনের সঙ্গে ওনার কোনো সম্পর্ক নেই ।
***
আমার যে কুষ্ঠি-ঠিকুজি মা তৈরি করিয়েছিলেন, তার সমস্ত ভবিষ্যবাণীকে ভুল প্রমাণ করে দিয়েছি ।
***
যে যুবতী নিজেকে কুৎসিত বলে মনে করেন, তাঁর আত্মচিন্তা সম্পর্কে ধারণা করা অসম্ভব ।
***
প্রচণ্ড বৃষ্টিতে সবুজ ঘাসের ওপরে সঙ্গমের তুলনা হয় না । যেমন শরৎকালের জ্যোৎস্নায় ফাঁকা মাঠে জোনাকিদের মাঝে উলঙ্গ প্রেমিক-প্রেমিকার নাচ ।
***
প্রেম তখনই সফল যখন তা প্রেমিক আর প্রেমিকা দুজনকেই একযোগে ধ্বংস করে দ্যায় ।
***
কবির প্রতিষ্ঠা অন্য কবিদের ঈর্ষায় লুকিয়ে । অগ্রজ লেখকেরা ঈর্ষা করার মাধ্যমে অনুজ লেখকদের স্বীকৃতি দেন
***
তুমি যাকে ঘৃণা করছ সে যদি তা জানতে না পারে তাহলে ঘৃণা করার কোনো মানে হয় না ।
***
পরস্পরের ভাষা না জানলে, সঙ্গমের রহস্য আরও গভীর হয়ে ওঠে ।
***
প্রকৃত সুন্দরীর দিকে দ্বিতীয়বার তাকালে সৌন্দর্যের পরিভাষা যৌনতায় পালটে যায় ।
***
মানুষ পৃথিবীর প্রতি অপার বিরক্তি নিয়ে জন্মায় ; তাই সে জন্মেই কাঁদতে আরম্ভ করে ।
***
নাগরিকদের দুঃখ-কষ্ট-যন্ত্রণা দেবার জন্যই রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ।
***
অপবাদ আকর্ষণ করার ক্ষমতা না থাকলে জীবদ্দশায় একজন কবির খ্যাতি বৃথা ।
***
যেকোনো ব্যাপার তোমাকে নষ্ট করে দিতে পারে, তা অসাধারণ কবিতা হোক বা অপরূপা প্রেমিকা ।
***
বইমেলায় লিটল ম্যাগাজিন বিভাগে মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্যাঙাত হয়ে পেছন-পেছন হাঁটছিলেন সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় । আমায় দেখে হাত তুললেন, অর্থাৎ দ্যাখো, আমি কোথায় পৌঁছেছি । দেখলুম । জানি না ওনার মৃতদেহ নন্দন চত্ত্বরে রাখা হয়েছিল কিনা, একুশ বন্দুকের সেলামি দেয়া হয়েছিল কিনা । ওনার প্রতিদ্বন্দ্বী সুনীলের মৃতদেহ রাখা হয়েছিল, আর শক্তিকে শ্মশানে সেলামি দেয়া হয়েছিল ।
***
কখনও সাহিত্য-আলোচকদের মনের মতন লেখার চেষ্টা করা উচিত নয় । নিজের মনের মতন লিখতে গেলে রিস্ক নিতেই হবে ।
***
সৌরমণ্ডলের বাইরের মানুষদের কথা যখনই চিন্তা করা হয়, তখন তাদের কুৎসিত দেখানো হয় কেন ? তারা হয়তো ঐশ্বর্য রায় বচ্চন আর ঋতিক রোশনের চেয়ে ভালো দেখতে ।
***
পৃথিবীতে বসবাস করার মতো জায়গা আর রইলো না । এরকম জায়গা মগজে আসতে থাকলে, বুঝতে হবে মৃত্যু বেশ কাছাকাছি
***
কতোগুলো অঘটন মগজে পূঞ্জিভূত হলে একটা কবিতা চিন্তায় খেলতে আরম্ভ করে ?
***
কোনো-কোনো কবিতা মধু খেয়ে, ফেলে চলে যাওয়া, মৌমাছির চাকের মতন । মধুর খোঁজে মোম প্রাপ্তি ।
***
তোমার লিঙ্গও সঠিক সময়ে তোমার নির্দেশ মানতে অস্বীকার করতে পারে ।
***
ক্ষমা করার আগে গভীর ভাবে খতিয়ে দেখা উচিত ।
***
এই বয়সে কোনো যুবতী ভালোবাসার প্রস্তাব জানালে অমঙ্গলের আশঙ্কায় আক্রান্ত হই ।
***
জীবন সম্পর্কে কথা বলা প্রায় অসম্ভব কেননা বাংলা ভাষায় তার জন্য সঠিক অভিব্যক্তি এখনও পাওয়া যায় না ।
***
আমি ভাগ্যবান যে আয়নাকে ঘৃণা করার দরকার হয় না । আমার টাক পড়েনি ; কখনও পড়বেও না ।
***
মানব সম্প্রদায়ের মুক্তির তাত্বিকরা শেষ পর্যন্ত গণহত্যাকারীতে রূপান্তরিত হয় ।
***
সবচেয়ে বাজে আবিষ্কার হল লাউডস্পিকার, বিশেষ করে যখন তা সাম্প্রদায়িক বিশ্বাসের দানব হয়ে ওঠে ।
***
কবিতা মনের বিশৃঙ্খলাকে কয়েদ করে ।
***
প্রতিটি শব্দেই যদি ক্রিয়া লুকিয়ে থাকে, তাহলে একটিমাত্র সত্য বলে কিছু হয় না ; যা হয় তা হল কর্ম । ক্রিয়াপদে নিহিত থাকে কর্মশক্তি ।
***
সুভাষ ঘোষ আর শৈলেশ্বর ঘোষ মারা যাবার আগে অনেক চেলা তৈরি করে গেছে দেখছি । ওরা দুজনে মুচলেকা দিয়ে রাজসাক্ষী হয়েছিল বললেই চেলারা রাস্তার ঘেয়ো কুকুরের হাঁমুখ খুলে কামড়াতে আসে ।
***
এখনকার কবিতা অর্থবহ ‘পাবলিক ইডিয়ম’ গড়ে তুলতে পারেনি ।
***
আদালতের জজরাই যখন সন্দেহের ঊর্দ্ধে নন বলে বিধায়করা দাবি করছেন, তখন সাহিত্যের বিচারকরা কোন যুক্তিতে সন্দেহের ঊর্দ্ধে ?
***
ব্যর্থ বিপ্লবী বিদেশে গিয়ে মার্ক্সের কবর দেখতে যান । ব্যর্থ কবি বিদেশে গিয়ে বদল্যারের কবর দেখতে যান।
***
“কোথায়” জায়গাটা ঠিক কোথায় ?
***
দাদাকে লেখা সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের চিঠির অংশ, “যে কারণে আমি আনন্দবাজারে সমালোচনায় বাজে বইকে ভালো লিখি -- সেই কারণেই মলয়ের লেখাকে ভালো বলেছি”।
***
এককালে যারা অবক্ষয়বিরোধী ছিল তারাই বঙ্গসমাজে অবক্ষয় নিয়ে এলো ।
***
বক্সিং ম্যাচ যারা দেখতে যায় তারা হার-জিতের মাধ্যমে জীবনের সমস্যাগুলোর সমাধান খোঁজে ।
***
“পবিত্র বই” আর “অপবিত্র বই”-এর পার্থক্য হল যে “অপবিত্র বই” কেবলমাত্র কবিরাই লিখতে পারেন ।
***
গ্ল্যামারের আকর্ষণ হল ক্যাটওয়াকের শেষে যুবতীদের সমবেত ঘামের গন্ধ, যা অত্যন্ত দামি পারফিউম দিয়েও চাপা পড়ে না ।
***
সকলেই ভাবে ‘পৌঁছে গেছি’ । পেছন ফিরে তাকিয়ে টের পায় যেখানে সে দাঁড়িয়েছিল সেখানেই দাঁড়িয়ে আছে।
***
কেউ আমাকে ঘৃণা করলে তা উপভোগ করি ।
***
পশুরা জানতেই পারল না যে মানুষ সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী ।
***
ধর্ম যে উদ্দেশ্যহীন এবং ভাঁওতা তা সবচেয়ে ভালো করে জানে সেই বুড়োগুলো যারা নারী ও কিশোরদের মানববোমা তৈরি করে পাঠায় ।
***
প্রগতির একরৈখিক ধারণা  প্রিমিটিভ ।
***
বাজার-করা আর ভোট-দেওয়া ছাড়া নাগরিকের কোনো সম্পর্ক আছে কি সমাজ আর রাষ্ট্রের সঙ্গে ?
***
দেশভাগের আগে পূর্ববঙ্গের যে সাম্যবাদীরা দেশভাগ সমর্থন করেছিল, তারাই ১৫ই আগস্ট ১৯৪৭-এর অনেক আগে ভারতে পালিয়ে এসেছিল । তাদের কি তকমা দেয়া উচিত ? বিশ্বাসঘাতক !
***
“প্রচণ্ড বৈদ্যুতিক ছুতার” কবিতাটি হল  Confessions of pain ; যে কবিরা এই কবিতাটিকে হিংসে করেন, তাঁরা প্রকৃতপক্ষে আমার যন্ত্রণাবোধকে হিংসে করেন ।
***
লেসবিয়ানরা  পুরুষাঙ্গের মুখমেহন করতে পান না বলে কি ‘পেনিস এনভি’ পুষে রাখেন ? 
***
প্রতিশোধস্পৃহা জন্মায় উন্মদের মস্তিষ্কে, অথচ উন্মাদনা ছাড়া কবিতা লেখা যায় না ।
***
তুমি যদি নার্সিসিস্ট না হও, তাহলে তুমি আধুনিক কবি নও ।
***
বাঙালির ‘মধ্যমেধা’ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের অনেকে চেঁচামেচি করেন । যদি সকলেই ‘মধ্যমেধা’ হতো তাহলে বিদেশে কারা পালিয়ে গিয়ে বসবাস করছে ?
***
ভালো মানুষের পক্ষে ভালো বন্ধু পাওয়া অত্যন্ত কঠিন ।
***
আশাবাদ : লক্ষ বছর আগে মরে গিয়েছে যে নক্ষত্র তার আলো এখন এসে পৌঁছেচে পৃথিবীতে ।
***
মরে গেলে আত্মার সদ্গতির জন্য শোকপ্রকাশ করবেন না ; আমার আত্মা নেই । আমার গ্রন্হগুলোর আত্মা আছে ।
***
কবিতার উৎস কোনো-না-কোনো রহস্য যার উন্মোচন অন্য উপায়ে সম্ভব নয় ।
***
গাঙচিল নামে এক প্রকাশনা সংস্হার কর্ণধার বললেন যে, “আপনার বই তো  বুদ্ধদেব গুহর মতন বিকোয় না, তাই প্রকাশ করতে পারব না ।”
***
যার নির্বাণ কিংবা মহানির্বাণ ঘটে সে তা জানতে পারে না । তাহলে নির্বাণ বলতে কী বোঝায় ?
***
যোনিকে ফর্সা করে তোলার বিজ্ঞাপন প্রায়ই দেখি টিভিতে । যোনি কালো হোক বা ফর্সা তাতে প্রেমিকের কীই বা এসে যায় !
***
জোয়ার, ভাটা, এল নিনো, নিম্নচাপ, ঘূর্ণাবর্ত, বন্যা ! জলের অসুখ হল প্রকৃতির জলাতঙ্ক ।
***
সব ধর্মের পুরোহিতরাই নানা রকমের আচরণ করেন । দেখে মনে হয় বাচ্চাদের খেলা । তাই বোধহয় ধর্মগুলোয় নানা খোকোনপ্রিয় গাঁজাখুরি গল্প গড়ে ওঠে ।
***
ভারতে অনেক পরিবার হাজার বছর ধরে গরিব । তবু তারা হাতে অস্ত্র তুলে নেয় না কেন ? জাতপাতের বর্ণবিভাজনের কারণে !
***
অন্ধকারে বিছানাকে আরণ্যক বধ্যভূমি করে তোলাই ফুলশয্যা ।
***
রাস্তায় অচেনা মানুষদের ভিড়ে গা-ঘেঁষাঘেষি করে হাঁটার সময়ে একাকীত্বকে যেভাবে উপভোগ করি, সেভাবে একা ঘরের কোনে বসে হয় না ।
***
পাশা খেলায়, মানে জুয়ায়, যুধিষ্ঠির কখনও জিততে পারেননি, তবু কেন শকুনি চরিত্রের প্রয়োজন ?
***
যে লোকটা ভয়ে কখনও কোনো মাদক নেয়নি সে গাঁজাটানার বিরোধীতা করবেই ।
***
এক-একজন মানুষকে একবার দেখলেই টের পাওয়া যায় তার মগজে সাভানার কোন জন্তুদের উৎপাত চলছে ।
***
জীবনে একবার অন্তত আকুল কামলালসায় আক্রান্ত হবার অভিজ্ঞতা জরুরি ।
***
পরস্পরবিরোধিতা আর অনিশ্চয়তার সম্ভাবনাকে একযোগে ধরে ফেলতে পারে কবিতা ।
***
কেউ যদি জানতে চায় যে লিফ্টে আমি কার সঙ্গে আটক হতে চাইব ? আমার উত্তর হবে কোনো নেয়ানডারথাল তরুণীর সঙ্গে, তার কারণ সে জানে না যে প্রেম কাকে বলে ।
***
প্রেম শেষপর্যন্ত অনীহা, উদাসীনতা, গতানুগতিকতা, অমনোযোগ, একঘেয়েমিতে পৌঁছে ফুরিয়ে যায় ।
***
বিশ্বাসঘাতকরা মরবার আগে আত্মসন্মানহীন শিষ্যদের তৈরি করে যায়, যারা মৃতের গোলামি করে বেঁচে থাকে ।
***
যে লোক তোমার সঙ্গে ছলনা করেছে সে চিরকাল তোমার বিরুদ্ধে কথা বলবে, এবং সে যদি লেখক হয় তাহলে তোমার বিরুদ্ধে লিখবে ।
***
জীবনে একবার কেউ-না-কেউ পিঠে ছুরি মারবেই, আর সে-আঘাত কখনও সারবে না ।
***
বিশুদ্ধ ক্ষমতার লোভ থেকে গুণ্ডা এবং রাজনেতাদের জন্ম ।
***
মেয়েদের ভগাঙ্কুর কেটে ফেলার প্রধান উদ্দেশ্য তাদের যৌনসুখ থেকে বঞ্চিত করা । সউদি আরবে এই প্রথা তুলে দেয়া হয়েছে কেননা আব্রাহামিক ধর্মগ্রন্হে কেবল পুরুষের খতনা সম্পর্কে নির্দেশ আছে ।
***
বিষয়-সম্পত্তির জন্য মানুষ-মানুষীর এতো লোভ হয় কেন ? ভবিষ্যতের জন্য নয় । যখন মানুষ গুহাবাসী ছিল তখন গুহার দখলিসত্ত্ব নিয়ে লড়াই করতে হতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে আত্মরক্ষা করার জন্য । সেই প্রাগেতিহাসিক মানুষ ঘাপটি মেরে থাকে বেশির ভাগ মানুষের চরিত্রে ।
***
বুড়ো বয়সের একটা ফোটো পোস্ট করেছিলুম ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটে, একথা জানিয়ে যে পেনশনে টিকে আছি এবং মুম্বাইতে থাকি । বহু তরুণী প্রোপোজাল পাঠিয়েছেন ! কী কারণ হতে পারে ? বাবা-প্রেমিক চাই ? মুম্বাইতে ছাদ চাই ? 
***
অনেক পরিচিত মানুষ-মানুষী স্বপ্নে বারবার আসেন, অথচ আমি চাই না তাঁরা আসুন । বোঝা যায় যে প্রতিটি ব্যাপারে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হতে পারে না ।
***
আমি লিখি গল্পহীন গল্প ; অনেকে তাকেও ছোটোগল্প বলে মনে করেন ।
***
সৃজনশীল মানুষের অধঃপতনের অভিজ্ঞতা হওয়া জরুরি, কেননা তা জ্যোতিষ্কদের হয়, পশুদের হয় না ।
***
সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়কে লেখা সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ১৫ জুন ১৯৬৪-এর চিঠি থেকে : “সন্দীপন, আপনি অনেকদিন কিছু লেখেননি, প্রায় বছর তিনেক । তার বদলে আপনি কুচোকাচা গদ্য ছাপিয়ে চলেছেন এখানে-সেখানে । সেই স্বভাবই আপনাকে টেনে নিয়ে যায় হাংরির হাঙ্গামায় । আমি বারণ করেছিলাম । আপনি কখনও আমাকে বিশ্বাস করেননি । ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছিলেন । আমি শক্তিকে কখনও বারণ করিনি, কারণ আর যত গুণই থাক --- শক্তি লোভী । শেষ পর্যন্ত উৎপলও ওই কারণে যায়।”
***
স্বমেহন আর কবিতার একটা যোগসূত্র আছে । দুটোই একই বয়সে আরম্ভ হয় ।
***
টাক ঢেকে রাখার জন্য জুলিয়াস সিজার সব সময় অলিভ পাতার মুকুট পরে থাকতেন, ঘুমোবার সময় ছাড়া । তাঁকে যখন সেনেটররা ছোরা মারছিলেন, তখনও তিনি মুকুট সামলাচ্ছিলেন ।
***
দে’জ থেকে একটা “হাংরি জেনারেশন সংকলন” প্রকাশিত হয়েছে, তাতে শঙ্খ ঘোষের লেখাও অন্তর্ভুক্ত ! এই সংকলনে এমন অনেকের লেখা আছে যারা হাংরি আন্দোলনের সময়ে মায়ের কোলে ছিল ।
***
চে গ্বেভারার কবর খুঁজে পাওয়া গিয়েছে, তাতে ওনার কেটে নেয়া হাত দুটো ছিল না ; হাত দুটো সংরক্ষণের জন্য কিউবায় পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু সেখান থেকেও হারিয়ে গিয়েছে ।
***
যাদের বাড়ির ভেতরেই পায়খানা থাকে তাদের প্রলেতারিয়েত বলা চলে কি ?
***
বাতাসের ঘ্রাণশক্তি ঝড়কে আমিষাশী করে তোলে ।
***
দীর্ঘশ্বাস হলো রাতের উড়ন্ত একাকী দাঁড়কাক ।
***
চাষিকে খেতছাড়া, মজুরকে কারখানা-ছাড়া, গেরস্হকে ঘরছাড়া করার মাধ্যমে যারা বিপ্লব করতে চায় তারা সময়ের ল্যাঙ খেয়ে কুপোকাৎ হবেই ।
***
বাল বা ঝাঁট অনেকের কানেও হয় । তারা বেশ সন্দেহজনক ।
***
যোনির সঙ্গে প্রসববেদনার সম্পর্ক । কিন্তু বহু তরুণী প্রসবযন্ত্রণা ভোগের সুযোগ পান না ।
***
আইভিএফ করে বউ-এর বাচ্চা হয়েছে । কবির শুক্রসংখ্যা কম । উনি আর প্রেমের কবিতা লেখেন না ।
***
জার্মানির মতন ভারতেও বেশ্যাবৃত্তিকে আইনের স্বীকৃতি দেয়া দরকার । তাদের নিয়মিত ডাক্তারি পরীক্ষাও দরকার । তাহলে রেপের সংখ্যা কমবে বলে অনুমান করা যেতে পারে ।
***
ভারতে খৃষ্টধর্মীরা শবে ফরম্যালিন মাখিয়ে তিনচার বছর রেখে দিচ্ছেন, গোরস্তান পাবার আশায় । ইউরোপে কিন্তু ইনসিনারেটার প্রয়োগের সংখ্যা বেড়ে গেছে ।
***
মারাঠি কবি অরুণ কোলটকার একজন পার্সি তরুণীকে বিয়ে করেছিলেন । পার্সি সমাজ সেই বিয়েকে স্বীকৃতি দেয়নি । দুই ধর্মের বিয়েতে ব্যাগড়া দেয় দুটো সমাজ, আর এটা ভারতেই সবচেয়ে বেশি ।
***
রামকৃষ্ণ পরমহংসকে নিয়মিত চুল আর দাড়ি ছাঁটাতে হতো । চৈতন্যদেবকে নিয়মিত দাড়ি আর মাথা কামাতে হতো । 
***
রাজকমল চৌধুরীর মাহিষী গ্রামে মোষ বলি দিয়ে তার রক্ত মেখে সবাইকে নাচতে দেখে আমিও তাই করেছিলুম । পরে ব্যাপারটা যখনই মনে পড়েছে, ভেবেছি যে কেমন করে আমিও ওই পাল্লায় পড়েছিলুম ।
***
গাঁজা আর চরস ফুঁকে তার নেশায় যারা আটকে পড়ে তারা মূর্খ । ওগুলো ইচ্ছেমতো ছেড়ে দেয়া যায় । মদের নেশা ধরে ফেললে ছাড়ানো কঠিন হয়ে দাঁড়ায় ।
***
বাবা প্রতিটি চিঠিতে লিখতেন, “ঈশ্বরে বিশ্বাস রাখবি, তাহলে কেউ তোর কিছু করতে পারবে না।” মা কিন্তু কোনো চিঠিতে ঈশ্বরের উল্লেখ করতেন না । 
***
আমার মেয়ে আর নাতনিরা ঈশ্বরে বিশ্বাস করে না, গরু-শুয়োরের মাংস খায়, আফ্রিকার বুশমিট খায় । 
***
আমার ছেলে হিন্দুর যাবতীয় দেবী-দেবতায় বিশ্বাস করে, যদিও সে আর তার বউও গরু-শুয়োরের মাংস খায় ।
***
আমার স্ত্রী ভগবানে বিশ্বাস করে কিন্তু ভগবান বলতে যে কী বোঝায় তার ব্যাখ্যা করতে পারে না । গরুর মাংস খায় । খাবার পর বলতে থাকে, গরুর মাংস কেন যে খেলুম ।
***
অতিরাজসিক রাজ্যে, কী হবে চামউকুনে থিকথিকে অলিভমুকুটে ?
***
বোবার গুষ্টি ছাড়া আর কেই হলপ করে না ।
***
পাঁকে হাঁটতে যে ঘেন্না হয় তা পায়ের নয় ; তা মগজের ।
***
বুড়ো হলে মুখে জমে থাকে পরতের পর পরত বয়স, তাই তা আর রহস্যময় থাকে না ।
***
সধবার শব সাজাবার বিউটিশিয়ানরা বউ সাজাবার চেয়ে বেশি চার্জ করে মূলত দেহতাপের পার্থক্যের দরুন ।
***
শৈলেশ্বর ঘোষ তাঁর অনুগামীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন সুভাষ ঘোষকে মারধর করার জন্য । তাঁর মনে হয়েছিল সুভাষ ঘোষ ক্ষুধার্ত আন্দোলনের নেতৃত্ব ছিনিয়ে নিচ্ছেন । আঁদ্রে ব্রেতঁর ভুত শৈলেশ্বরের ওপরে ভর করেছিল ।
***
দে’জ থেকে প্রকাশিত হাংরি সংকলন-এর টাকা বইমেলার মাঠে বিতরণ করছিলেন অরুণেশ ঘোষ আর শৈলেশ্বর ঘোষ । অরুণেশকে এই খেলায় দেখে অবাক হইনি ।
***
হাংরি আন্দোলনের সদস্যদের মধ্যে যতো ভাগাভাগি হয়েছে তার কুড়িগুণ বেশি হয়েছিল পরাবাস্তববাদীদের মধ্যে । 
***
‘২২শে শ্রাবণ’ ফিল্মটা মোস্ট ইডিয়টিক ।
***
লকডাউনের কারণে সিঙ্গল মল্ট আর আবসাঁথ খাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে ।